পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

২০২০ সাল জুড়ে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে গেছে। সেই পরীক্ষার প্রয়োজনে সাইবার ক্রাইম করে অর্থ চুরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ইরান উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু পরীক্ষায় সাহায্য করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি গোপন রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।

২০২০ সালে উত্তর কোরিয়া যে পরমাণু অস্ত্র এবং ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে এবং নতুন অস্ত্র তৈরি করেছে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। কিছুদিন আগে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস শেষ হওয়ার পরে সেনা বাহিনী একটি কুচকাওয়াজ করে। সেখানে নতুন ব্যালেস্টিক মিসাইল দেখানো হয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই ব্যালেস্টিক মিসাইলের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রও যুক্ত করা ছিল।

জাতিসংঘের রিপোর্টে অবশ্য আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাইবার হ্যাক করে জোগার করেছে উত্তর কোরিয়া। তারই সাহায্যে কংম দূরত্বের, বেশি দূরত্বের এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরি করেছে তারা। বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এ কাজ তারা করেছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, সম্প্রতি তারা জাতিসংঘের একটি গোপন রিপোর্ট দেখেছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

২০১৮-১৯ সালে তিনবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করার জন্য তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়া নিয়ে নতুন স্ট্র্যাটেজি পরিকল্পনা করছেন। কী ভাবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে তিনি ভাবনাচিন্তা করছেন।

এদিকে জাতিসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করছে। দুইটি দেশই গোপনে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ইরান অবশ্য এতদিন পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি তাদের পার্লামেন্টে একটি আইন প্রণয়ন হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ইউরোনিয়াম মজুতের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানো হবে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সূত্র: রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.