সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ

পঞ্চম দিনে উইকেটে কিছুই থাকবে না বড় বড় টার্ণ করবে বল এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। চতুর্থ দিনে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসমযান কাইল মায়ার্স এবং এনক্রুমাহ বোনার প্রথম সেশনেও অপরাজিত থাকবেন এটা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করেননি কেউ। এই স্পিনিং উইকেটেও মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং নাইম হাসানদের স্পিনের বিপক্ষে ঠিকই দাঁতে দাত চেপে রান তুলে চলেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ফলে হতাশা নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৩৯৫ রান। সে লক্ষে পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালো করেছে সফরকারীরা। তাই বলে বাংলাদেশের বোলারা যে সুযোগ তৈরি করতে পারেননি এমনটাও নয়। দুটি এলবিডব্লু হলেও রিভিউ না নেওয়া, ক্যাচ হাতছাড়া করা সবশেষে রিভিউ নিয়েও বেচে যাওয়া। ফলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩৮ রান নিয়ে অপরাজিত বোনার-মায়ার্স জুটি।

এই জুটি ভাঙার চারটি পরিস্কার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৭ রানের মাথায় তাইজুলের বল প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোরালো আবেদনে করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার, বাংলাদেশও নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগেছিল স্ট্যাম্পে, রিভিউ নিলে উইকেট পেত তাইজুল। মায়ার্সই একটু পর আবারো ৪৯ রানে জীবন পান। মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

আউট হতে পারতেন বোনারও। নাঈম হাসানের একটি তীক্ষ্ণ টার্ন করা বল বোনারের প্যাডে এসে লাগে। এবারও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ, বোনারও বেঁচে গেলেন ২৫ রানে। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগে তাইজুলের বল আবারো প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোড়ালো আবেদন করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক রিভিউ নিলেও দুর্ভাগ্যে জেড়ে রিভিউয়ে দেখা গেল উইকেট আম্পায়ার্স কল। ৯১ রান করা মায়ার্স আবারো জীবন পেলেন। হতাশায় পুড়লো বাংলাদেশ।

অন্যদিকে ৪৩ রান করে অপরাজিত আছেন বোনার। লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত উইন্ডিজদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৭ রান। প্রথম টেস্ট জিততে সফরককারীদের এখনো প্রয়োজন ১৯৮ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.