সাকিবকে নেওয়ার ভাবনায় আইপিএলের ৩ দল

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দেয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সাকিব আল হাসানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। এবার পালা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রত্যাবর্তনেরও। এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ক্রিকেটের এই জাঁকজমকপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি।

সাকিব সর্বশেষ আইপিএল খেলেছিলেন ২০১৯ সালে। সেবার সানরাইর্জার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেললেও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। দলটির হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। যদিও আইপিএলের ঐ আসরের পরই বিশ্বকাপে ব্যাট এবং বল হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন সাকিব। উইন্ডিজদের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের সিরিজেও জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।

আগামী এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের ১৪তম আসরে তাই দেশসেরা এই অলরাউন্ডারকে পাওয়ার দৌড়ে অনেক দলই প্রতিযোগিতায় নামবে। ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যম ধারণা করছে অলরাউন্ডার শ্রেণিতে সাকিবকে পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে পারে আইপিএলের তিনটি স্বনামধন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি হলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন বেঙ্গালুরু ২০১৬ সালের পর আবারো ২০২০ আইপিএলের প্লে অফ উঠতে পেরেছিল। কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স আর তরুণ তুর্কি দেবদূত পাড্ডিকাল থাকায় দলটির টপ অর্ডার বেশ পাকাপোক্ত। কিন্তু এবারের আসরের জন্য তাঁরা মইন আলি সহ বেশ কয়েকজন বিদেশী ক্রিকেটার ছেড়ে দেয়ায় তাদের বিদেশী খেলোয়াড় কোটা খালি রয়েছে।

সেক্ষেত্রে দলটি মিডল অর্ডারে ব্যাটিং অর্ডার মজবুত করতে এবং বোলিং বৈচিত্র আনতে সাকিবকে দলে পেতে চাইবে। বেঙ্গালুরুর পরেই আছে রাজস্থান। আইপিএলের প্রথম আসরে দলটি শিরোপা জেতার পর আরো কোন আসরেই তেমন সুবিধা করতে পারেনি। সম্প্রতি তাঁরা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকেও ছেড়ে দিয়েছে। ফলে বিদেশী কোটা খালি রয়েছে তাদের। অন্যদিকে দলটির স্পিনার রাহুল তেওয়াতিয়া এবং শ্রেয়াস গোপাল গত আসরে ভালো করতে না করায় স্পিন বৈচিত্র আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি সাকিবকে দলে ভেড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে বেন স্টোকস, জস বাটলার, স্যানজু স্যামসনদের সঙ্গে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যানও পাবে রাজস্থান। এই দুই দলকে টেক্কা দিয়ে সাকিবকে অবশ্যই দলে পেতে চাইবে পাঞ্জাব।

গত আসরে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেও সুবিধা করতে পারেনি দলটি। টপ অর্ডারে ক্রিস গেইল, লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগাওয়ালররা দারুণ ছন্দে রয়েছেন। মিডল অর্ডারে নিকোলাস পুরানও ব্যাট হাতে বিদ্ধংসী ইনিংস খেলতে পারেন। কিন্তু গত আসরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে এবারের আসরের জন্য ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া অলরাউন্ডার জেমস নিশামকেও ছেড়ে দিয়েছে তাঁরা।

সেক্ষেত্রে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং সামর্থ্য বাড়াতে সাকিবকে পেতে চাইবে দলটি। তাছাড়া সাকিবের স্পিন ভারতের মাটিতে কতটা কার্যকর তাও অজানা নয় প্রীতি জিনতার দলের। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কোন দল কিনে নেয় দেশ সেরা এই অলরাউন্ডারকে। সেজন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আইপিএলের নিলাম পর্যন্ত।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.