হাঙ্গেরিকে ভ্যাকসিন দেবে বাংলাদেশ, চেয়েছে বলিভিয়াও

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হাঙ্গেরি বাংলাদেশের কাছে পাঁচ হাজার করোনার ভ্যাকসিন চেয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ভ্যাকসিন চেয়েছে। আমাদের যে স্টক আছে সেখান থেকে আমরা দেব। বলিভিয়াও আমাদের কাছে চেয়েছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম একথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে মাত্র ২২টি দেশ ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু করেছে। তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পৃথিবীর মাত্র ৩৫টি দেশ ভ্যাকসিন কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে পেরেছে।

ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন আছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আবেদন করছি, বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে যাতে এই আইন প্রয়োগ করা হয়। ভ্যাকসিন নিয়ে কী রকম রটনা করছে।

তিনি বলেন, হাঙ্গেরির মতো একটি রাষ্ট্র, পৃথিবীর প্রথম শ্রেণির একটি রাষ্ট্র, ভ্যাকসিন পায়নি। আর একটি চিঠি পেয়েছি বলিভিয়া থেকে তারা বাংলাদেশ থেকে ভ্যাকসিন নেবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি তারা সম্মতি দেন, আমরা সেটাও পাঠাব।

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার করেছেন। যেখানে পৃথিবীর ৩০টি দেশ এখনো করতে পারেনি। এটা কি যথেষ্ট নয়, যোগ করেন শাহরিয়ার আলম।

ডেপুটি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, আজকে সংসদ গ্যালারিতে মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, সেক্টর কমান্ডাররা উপস্থিত আছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু আপনারা যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেই স্বপ্ন মনে হচ্ছিল আস্তে আস্তে মিশে যাচ্ছে, এই স্বপ্ন কোন দিন বাস্তবায়িত হবে না। আমাদের প্রজন্ম যেটাকে বলি ভুল সময়ে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম। ১৯৭৫ সালে আমি ক্লাস ওয়ানের ছাত্র ছিলাম। তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে উল্টো পথে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাসকে মুছে ফেলে বিশেষ স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে পাঠ্যবই পরিবর্তন করা হয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু সেই সব সংঙ্কা দূরে ঠেলে দিয়ে ভুল প্রমাণিত করে বীর সেনানির মতো উত্থান হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার।

পরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পালন করছি। এই শতবর্ষে বাংলাদেশ যে লক্ষ্যে এগিয়ে চলছিল গত ১২ বছর। সেই লক্ষ্যে একেবারে সুনির্দিষ্ট বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে। কোন চক্রান্ত কোন কিছুই তাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি এবং পারবে না।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.