কলারোয়ায় দুই মেয়র-তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট কারচুপি, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ খান, রফিকুল ইসলাম ও মোজাহিদুল ইসলাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এদের মধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা তাদের নিজ কার্যালয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালট সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি নজিরবিহীন কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

অপরদিকে, বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিনও একই ধরনের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে সকাল ৮টা থেকে কলারোয়া পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু হলে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা দেখা গেছে।

নির্বাচনে পৌর এলাকার ৯টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ২৮০ জন ভোটার।

কলারোয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রতীক পেলেও সাবেক মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মজনু চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন নৌকা প্রতীকের মনিরুজ্জামান বুলবুল, ধানের শীষের শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন ও সাবেক মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা।

এদের মধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও তিনটি সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.