ধর্ষণের পর কিশোরীর আত্মহত্যা, ধর্ষকের ৪২ বছরের কারাদণ্ড

জয়পুরহাট সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৩) আত্মহত্যার ঘটনার মামলায় ধর্ষকের ৪২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মাসুদ রানা। তিনি হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ জুন দুপুরে জয়পুরহাটের হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কিশোরী খাদিজা বেগম বাড়ির পাশে নিজেদের ক্ষেতে যায়। সেখানে তাকে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী পাটখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন মাসুদ। কিশোরীর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে মাসুদ পালিয়ে যান।

ওই ঘটনার একদিন পর ২ জুলাই খাদিজা নিজ শয়নকক্ষে বিষপানে আত্মহত্যা করে। পরে তার বাবা হেলালুদ্দিন বাদী হয়ে পরদিন ৩ জুলাই জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ধর্ষকের বিরুদ্ধে ৪২ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আসামি মাসুদ রানা পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/সংশোধিত ২০০৩ এর ৯/১ ধর্ষণ ধারায় যাববজ্জীন অর্থাৎ ৩০ বছর এবং ৯/ক ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে দুই ধারায় এক লাখ করে দুই লাখ অর্থদণ্ড দেন আদালত। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সবমিলিয়ে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.