সোনালী ব্যাংক ও সিসিআইঅ্যান্ডই’র মধ্যে ই-পেমেন্ট কর্যক্রম শুরু

সোনালী ব্যাংক এবং আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর (সিসিআইঅ্যান্ডই) মধ্যে ই-পেমেন্ট কর্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমে বাণিজ্যিক কাজ সহজ হবে।

এ উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সমঝোতা স্মারকে সই করেছে সোনালী ব্যাংক ও সিসিআইঅ্যান্ডই। সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান এবং আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক সোলেমান খান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-পেমেন্ট চালুর কারণে গ্রাহকরা সনাতন ধারার ব্যাংকে গিয়ে ম্যানুয়াল পেমেন্টের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে তাদের সময়, যাতায়াত ও খরচ সাশ্রয় হবে। ঘরে বসেই এই পেমেন্ট করা যাবে। অপরদিকে সিসিআইঅ্যান্ডই-এর কর্মকর্তারা বাস্তব সময়ে ই-চালানের তথ্য পাবেন। ফলে আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত সেবাগুলো আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। এর মধ্য দিয়ে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।

ই-পেমেন্ট সুবিধার কারণে পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে গ্রাহক ক্যাশ অন কাউন্টার (ব্যাংক ব্রাঞ্চ), অনলাইন অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, রকেট, নগদ, ইউক্যাশ ইত্যাদি) ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড (ভিসা, মাস্টার, এমেক্স, নেক্সাস ইত্যাদি) সহ অন্যান্য পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট দিতে পারবেন।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে আমদানি নিবন্ধন সনদ, রফতানি নিবন্ধন সনদ, শিল্প আমদানি নিবন্ধন সনদ, ইন্ডেন্টিং নিবন্ধন সনদ ইত্যাদি সেবা অনলাইনে লাইসেন্সিং মডিউল (ওএলএম) সফটওয়্যার দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই সেবা পেতে নির্ধারিত ফি টিআর চালানের মাধ্যমে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ম্যানুয়ালি জমা করতে হতো গ্রাহকদের। এরপর সেই চালানের স্ক্যান কপি আপলোড করে সিসিআইঅ্যান্ডই সেবার জন্য আবেদন করতে হয়।

এর ফলে টিআর চালান জমা হওয়ার পরদিন দুপুর ১২টার পরে সিজিএ অফিসের ওয়েবসাইট হতে অনলাইনে যাচাই করা হয়। এতে সেবাগ্রহীতাকে চালানে অর্থ জমা দেবার পরেও কাঙ্খিত সেবার জন্য একদিন অপেক্ষা করতে হতো। এর অন্যতম কারণ পেমেন্ট ব্যবস্থা ছিল সনাতনী ধাঁচের। আর সেই ভোগান্তি ঘুচাতে চালু করা হয়েছে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বছর ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। এই দুটো বড় ঘটনা একসঙ্গে দেখছি এবার। সেজন্য আমরা এই বছরটা স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্নভাবে কাজ করছি। সবাই জানেন ১২ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা শতভাগ অর্জন করেছি সেটা বলছি না। তবে সে লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।

টিপু মুনশি বলেন, করোনাকালে আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে অনেক কিছু বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে একটা বিষয়ে ভীষণ রকমের উন্নতি হয়েছে সেটা হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের। এই করোনায় একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে যে, আমরা কখনো চিন্তা করিনি বাড়িতে বসে অনলাইনে পেঁয়াজ কিনতে পারবো। এটা শুভ লক্ষণ।

তিনি বলেন, সিসিআইঅ্যান্ডই গত জুন থেকে ডিজিটাল কার্যক্রম শুরু করেছে। আজকে সেটার সোনালী অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা চাই সকলে ঘরে বসে সব রকমের সুবিধা উপভোগ করুক।

অর্থসূচক/এনএইচ/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.