ভ্যাকসিন পেতে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চুক্তি অনুযায়ী ভারতের কাছ থেকে করোনার ভ্যাকসিন পেতে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে তিনি এ কথা জানান। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন ভারত রফতানি না করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানতে পারে।

তিনি বলেন, সকালে আমি সাংবাদিকদের ফোনে বিষয়টি জানতে পারি। কিছুক্ষণ পর মন্ত্রণালয়ে জিজ্ঞেস করব, তারা কিছু জানে কি না।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কয়েক মাস এ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।

ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে দরিদ্র দেশগুলোর সাধারণ মানুষের কাছে টিকা পৌঁছাতে সম্ভবত কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, রোববার ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রফতানি করা হবে না।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ পেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ৬ মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল সিরামের। তবে ভারতের হঠাৎ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পেতে আরও অপেক্ষা করা লাগতে পারে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.